সর্বশেষ

10/সর্বশেষ/ticker-posts

লাল পাহাড়ের দেশে: ৫ম পর্ব


ডঃ গৌতম সরকার


কিছুক্ষণ পর চোখটা একটু সয়ে আসতে বুঝলাম ওই অন্ধকার পিন্ডটা বেশ কিছু মানুষের জমায়েত। এরা কারা! এদের উদ্দেশ্যই বা কি! অনেক প্রশ্নই বিদ্যুৎ চমকের মতো মাথায় আসছে। কিন্তু উত্তরগুলোর হদিশ পাচ্ছিনা, সেগুলো মাথার অনেক ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। শুধু বুঝলাম, দুজনেই ভীষণ ভয় পেয়ে গেছি। এত ভয় পেয়েছি, কেউ কোনো কথা পর্যন্ত বলতে পারছিনা। কল্পনাতেও এরকম নেতারহাটের ছবি দেখিনি। চারদিকে কালো জঙ্গল, কোথাও বাড়ীঘরের চিহ্নমাত্র নেই। আসলে রাঁচির গুমটির ভদ্রলোক ওইসব খবর না দিলে এতটা ভয় পেতামনা। মানুষের দঙ্গলটা ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে, জঙ্গল মাড়িয়ে আমাদের অবতরণের আওয়াজ নিশ্চয়ই ওদেরও কানে গেছে। ওরাও বোধহয় বোঝার চেষ্টা করছে আওয়াজের উৎসটা কি। আমাদের কাছে সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই, পিছিয়ে যেতে হলে অন্ধকার বনপথ ধরে জংলী জানোয়ারকে সঙ্গে মধ্যে নিয়ে আবার রাঁচি অভিমুখে ফিরতে হবে। বাবা-মাকে স্মরণ করে, যা থাকে কপালে বলে ঈশ্বরের নাম জপতে জপতে এগিয়ে যাওয়াই মনস্থ করলাম। কিছুটা এগোতে দুপক্ষই পরস্পরের উপস্থিতি সম্বন্ধে সচেতন হল। অন্যপক্ষ বুঝলো, আমরা স্থানীয় মানুষ নই, বিদেশি। আর আমরা আর কি বুঝবো, দূর্গা নাম স্মরণ করে ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন বুঝে গেছি, বিপদের কিছু থাকলে সেটা সামনাসামনি মোকাবিলা করতে হবে। অন্ধকারে কারোর মুখই স্পষ্ট নয়; আমি সরাসরি ওদের কাছে হোটেলের আর মালিকের নাম বলে হোটেলটার হদিশ জানতে চাইলাম। বুদ্ধি করে জুড়ে দিলাম, হোটেলের মালিকই আমাদের পাঠিয়েছেন। এতে করে যদি কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পাওয়া যায়। আমার কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিন্ড ভেঙে দুটি অল্পবয়সী ছেলে ছিটকে বেরিয়ে এসে আমাদের দুজনের লাগেজ পিঠে নিয়ে হাত ধরে দিল টান। তারপর মাঠ-ঘাট, চড়াই-উৎরাই ভেঙে মিনিট তিনেক দৌড়ে একটা উপত্যকার প্রান্তে পৌঁছলাম। কচ্ছপের পিঠের মতো উপত্যকার একদম চূড়ায় ছবির মত সুন্দর ছোট্ট একটা দোতলা বাড়ি; নিচের তলা পুরো অন্ধকার, আর ওপরতলার জানলার পর্দার আড়াল থেকে ক্ষীণ আলো দৃশ্যমান। এতদিন পর মনে পড়ছেনা, তখন ওখানে বিদ্যুৎ ছিল কিনা। থাকলেও লোডশেডিংয়ের প্রাবল্য নিশ্চয় ছিল। আমারতো কোনো উজ্জ্বল আলোর কথা মনে পড়ছেনা। ছেলেদুটো হাঁফাতে হাঁফাতে সেই বাড়িটার সামনে পৌঁছে আমাদের হাত ছাড়ল। দরজা ভেজানো ছিল, ঘরে ঢুকে চটপট আলো জ্বালিয়ে ফেলল। আমরা পিছনে পিছনে ঢুকলাম। ছেলেদুটোর কথা ভদ্রলোকের মুখেই শুনেছি, ওদের উছ্বাস দেখেই বুঝেছি আমাদের আকস্মিক আগমন ওদের কাছে স্বপ্নর থেকেও সুদূর ছিল। তখন ভারতবর্ষে মোবাইল ফোন আসেনি আর টেলিফোন পরিষেবাও খুব সীমিত এবং দূর্বল ছিল। তাই ভদ্রলোকের পক্ষে রাঁচি থেকে আগাম জানিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিলনা। ইদানিং ট্যুরিস্ট আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাইনে তো দূরের কথা দুবেলা খাওয়ার সংস্থানও যেতে বসেছে। মালিকপক্ষকেও দোষ দেওয়া চলেনা, বোর্ডার না হলে কতদিন কর্মচারীদের বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে। আজ অযাচিত আমাদের আগমনে অন্ততঃ দুয়েকটা দিন তাদের চাকরির মেয়াদ যেমন বাড়ল তেমনি একটু ভালোমন্দ খাওয়ার সুযোগও ঘটলো বইকি। 




হোটেলটা একদম মার্জিনাল, আসলে এটা হোটেল নয় বাড়িই। ভদ্রলোক দোতলায় উঠে গিয়ে নিচের তলাটা ভাড়া দিতে শুরু করেছেন। দরজা দিয়ে ঢুকেই ডাইনিং-ড্রয়িং। দুপ্রান্তে দুটো শোওয়ার ঘর, আর ডাইনিং সংলগ্ন পাশাপাশি রান্নাঘর আর স্নানঘর। আমরা বাঁদিকের ঘরটা নিলাম। ঘরে কোনো খাট নেই। মেঝের একটা কোন সংলগ্ন দুটি দেওয়ালকে ছয় ইঞ্চি উচ্চতার আর্চের সাহায্যে ঘেরা হয়েছে, তার মধ্যে পরিপাটি বিছানা পাতা। আমাদের কাছে রাজশয্যা। হোটেলে ঢুকে হাতমুখ ধুয়ে চটপট তৈরি হয়ে নিলাম। আমাদের তখন জ্যোৎস্না ধোওয়া বাইরের অনন্ত ভ্যালি নিশিডাক পাঠাচ্ছে। ভরা পূর্ণিমার যুবতী চাঁদের ফাঁদ পাতা ভুবনে ধরা না পড়ে উপায় আছে! আর সেই সৌন্দর্য্যের আকুল ডাককে অস্বীকার করতে না পেরেই তো শত অসুবিধা, বাধা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এখানে আসা। ছেলেদুটো ইতিমধ্যে চা আর বিস্কিট নিয়ে হাজির হল। আমরা ইতিমধ্যে একটু গুছিয়ে নিলাম। তখন সদ্য সদ্য ইউনিভার্সিটি ছেড়েছি। হোস্টেলে টাকার সুবাদে পড়াশোনার সাথে সাথে কিছু ফক্কিবাজিও শিখে ফেলেছি। বহু কষ্টে জমানো পয়সা থেকে একবোতল রাম আর একবোতল হুইস্কি নিয়ে এসেছি। ভাবছি প্রথমে বাইরে গলন্ত জ্যোৎস্না পান করে মুখরার তারে তান দিই, তারপর ঘরে ফিরে বিদেশি ঝালা ঝেলে অন্তরায় ফেরা যাবে। পবিত্র বোতলদুটো বের করে ঘরের একমাত্র আসবাব দেওয়াল তাকে সাজিয়ে রাখল। এরপর দরজা খুলতেই চাঁদ ভাঙা জোৎস্না আর জ্যোৎস্না রঙে রাঙা উপত্যকা আমাদের দুহাত বাড়িয়ে ডাক দিল। আমরা সেই মাতাল ডাকে নিজেদের পুরোপুরি সমর্পণ করে দিলাম। পাহাড়ের এই সৌন্দর্য্য দেখার সৌভাগ্য আগে হয়নি। ঘরের দরজা থেকেই উপত্যকাটি গড়গড়িয়ে উৎরাই হয়ে নেমে গেছে। আশপাশে শিমুল, পলাশ, মহুয়া গাছের ইতস্তত সারি। পূর্ণ চাঁদের আলোয় বহুদূর পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আকাশ ধবধবে নীল, কোথাও একটুকরো মেঘের স্পর্শ লেগে নেই। নীল চাঁদোয়ার ক্যানভাসে হাজার লক্ষ হীরকদ্যুতি জ্বলজ্বল করছে। হাল্কা হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে শিমুল-পলাশ-মহুয়ার নেশা গন্ধ। এই পরিবেশে কিছুক্ষণ থাকলে আপনাআপনিই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন, কোনো কৃত্রিম তরল গলায় ঢালার প্রয়োজন হবেনা। আমরাও সব ভুলে গলা খুলে সুনীল-শক্তি আবৃত্তি করতে লাগলাম। তখন প্রচুর কবিতা পড়তাম, আর মুখস্থও রাখতে পারতাম। ভুলে গেলাম আশপাশের পরিবেশ। একবার দোতলার দিকে তাকিয়ে মনে হল কেউ যেন আবছা আলোয় পর্দা সরিয়ে আমাদের লক্ষ্য করছেন। বিরক্ত হচ্ছেন না উপভোগ করছেন বুঝতে পারছিনা। আসলে তখন বোঝার মতো মানসিক স্থিতিও ছিলনা। কবিতা পড়তে পড়তে উপত্যকার বুকে অনেক পথ পেরিয়ে এলাম।  কোথাও জনমানবের চিহ্ন নেই, অনেক দূরে দূরে এক-আধটা বাড়ি। কোনোটা একদম অন্ধকার, কোনোটায় টিমটিম করে আলো জ্বলছে। কতটা এলাম, কোনদিকে চলেছি, সাময়িক দিকজ্ঞান হারিয়ে দুটো অর্বাচীন দূষণহীন, সবুজমাখা বনপথ ধরে এগিয়ে চললাম। যত যাচ্ছি শিমুল গন্ধ তত ঘন হচ্ছে, আশপাশে টপ টপ করে পাকা মহুয়া ফল মাটিতে পড়ে ফেটে যাচ্ছে। প্রকৃতি নিজ হাতে গোটা এলাকা জুড়ে বিনি পয়সায় নেশার হাট বসিয়েছে, এখন ঘরে রাখা বোতলের সন্ধানে কে যায়! আমরা দুই মাতাল সেই রাতে জ্যোৎস্না কেটে কেটে পথ চলতে লাগলাম। আমাদের কবিতাগুলো সোনারঙা জ্যোৎস্নাপথ পেরিয়ে হালকা হাওয়ায় দুলতে দুলতে দূরের নীল পাহাড় পানে ভেসে যেতে লাগলো। অনেক পরে বোধোদয় হল রাত বেশ গভীর হয়েছে, তখন ফেরার পথ ধরলাম। কিন্তু পথ চিনে রাতের ঠিকানায় ফিরতে পারবো কিনা সেই চিন্তা পেয়ে বসল।


হোটেলে ফিরে যা দেখলাম তার জন্য বিন্দুমাত্র প্রস্তুত ছিলামনা, বিশেষ করে বাইরের ওই স্বপ্ন সফরের পর। হোটেলে চেক ইন করার পর দোতলা থেকে কেউ নেমে আসেননি; অর্থাৎ এখানে আসার পর মালিক পক্ষের সাথে কথা হয়নি। যখন বেরিয়েছি দেখে গেছি রাজেশ আর যতীন পুরোদমে রান্নার কাজে মন দিয়েছে। আমরাও ওদের জিম্মায় সবকিছু ফেলে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। এখন দরজা হাট করে খোলা, রান্নাঘরে স্টোভ জ্বলছে, সেখান থেকে পোড়া গন্ধ আসছে। তার মধ্যে একজন ডাইনিংয়ের মেঝেতে চিৎপাত, অন্যজন বাথরুমে দেওয়াল ধরে হাঁটু মুড়ে বসে আছে। সারা ঘরে তীব্র এক কটুগন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে। কিছুক্ষণ সময় লাগল ব্যাপারটা হৃদয়ঙ্গম করতে, দৌড়ে নিজেদের ঘরে গিয়ে দেখি যা ভয় করেছি তাই ঘটেছে। পর্যটক আসার আনন্দে দুই অর্বাচীন বালক উচ্ছাস আর ধরে রাখতে পারেনি। বালকই তো! আমরা তখন চব্বিশ- পঁচিশ। ওরা কত হবে! ওই উনিশ- কুড়ি। কিছুক্ষনের জন্যে বোধহয় আমাদের বন্ধুই ঠাউরে ফেলেছিল। তাই অতি উৎসাহে আমাদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বহু কষ্টে অর্জিত মহার্ঘ বোতলে থাবা বসিয়েছে। এইটুকু সময়ের মধ্যেই দুটো বোতলেরই অর্ধেক করে তরল হাওয়া, গন্ধ আর শারীরিক অবস্থা থেকে বুঝলাম ব্যাটারা নিট মেরেছে, জলটল মেশানোর কষ্টটুকুও করেনি। যার নিট ফল হল, দুজনেই বমি করে ঘর ভাসিয়েছে। আমি তো কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। এখানে পবিত্র তার ফর্মা দেখালো। এমনিতে চুপচাপ স্বভাবের, কিন্তু পারসোনালিটি সাংঘাতিক ; আর সাংসারিক এমন কোনো কাজ নেই জানেনা। বোন না থাকায় এবং ভায়েদের মধ্যে সবার বড় হওয়ায় ছোটবেলা থেকে মাকে টুকটাক সাহায্য করতে করতে সব শিখে গেছে। শুধুমাত্র রান্নাবান্না বা ঘরের কাজই নয়, বিপদের সময় ঠান্ডামাথায় কাজ উতরে দিতে জুড়ি মেলা ভার৷ আমি রাগারাগি করতে শুরু করলে ও হাত তুলে আমাকে থামিয়ে দিল। বললো, "এখন এসব বলে কোনো লাভ নেই, একটা কথাও এদের মর্মস্থলে পৌঁছবেনা। দেখনা, কাল সকালে ওদের কি অবস্থা করি! এখন আগে ওদের সুস্থ করতে হবে"। এবার আবার টনক নড়ল, সত্যিতো অতটা করে জল ছাড়া পানীয় খেয়েছে, কারোর শরীর খারাপ হয়ে গেলে এই মাঠে-জঙ্গলে কোথায় নিয়ে ছুটব। তার ওপর জায়গাটা আমরা এখনও চর্মচক্ষে দেখিনি পর্যন্ত। মালিকপক্ষেও তো একজন মহিলা আর একটা শিশু ছাড়া কেউ নেই, সেদিক থেকেও সাহায্য পাবারও আশা দেখছিনা। আর কিছু বিপদ ঘটে গেলে নিজেদের দায়িত্বও অস্বীকার করতে পারবোনা। আমাকে চিন্তা করতে দেখে পবিত্র আশ্বাস দিল, "চিন্তা করিসনা, কিছু হবেনা। এরা এমনিতে বেশ শক্তপোক্ত হয়। আসলে উপোসী পেটে বিদেশি জিনিস সহ্য হয়নি। আমি সব ঠিক করে দিচ্ছি"। এই বলে আগে বাথরুমেরটার মাথায় বালতি বালতি জল ঢালতে লাগলো, তারপর বাচ্ছাছেলের মত জামাকাপড় ছাড়িয়ে গা-মাথা মুছিয়ে অন্য ঘরটায় গিয়ে শুইয়ে দিল। আমি ঘরে ঢুকেই স্টোভটা নিভিয়ে দিয়েছিলাম। এখন গিয়ে দেখি রান্নাঘরের অবস্থা খুব খারাপ। আধা পাকানো খাবার, মশলাপাতি, বাসনপত্র চারদিকে ছত্রখান হয়ে পড়ে আছে। কড়াইয়ে মনে হচ্ছে ডালজাতীয় কিছু রান্না হচ্ছিল, সেটা যেভাবে পুড়েছে, কড়াইটাকে আবার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে কিনা সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। পবিত্র এবার দ্বিতীয়টাকে নিয়ে পড়েছে, সেটাকে ঘরের এক কোনে ঠেলে বাথরুম থেকে ঝাঁটা আর ফিনাইল এনে ভালো করে ঘরের নোংরা সাফ করল, তারপর দ্বিতীয়টাকেও বাথরুমে নিয়ে গিয়ে একই কায়দায় মাথায় বালতি বালতি জল ঢেলে বন্ধু বা সহকর্মীর পাশে শুইয়ে দিল। এবার রাতের খাবার নিয়ে ভাবতে হবে। অনেকক্ষণ পেটে কিছু পড়েনি, প্রকৃতির সুধা মন ভরাতে পারে, পেটের খিদে মেটানোর জন্য সরল খাদ্য চাই। আমার তখন রান্নাবান্না একদম আসতোনা। পবিত্র বলল, "তুই ঘরে গিয়ে রেস্ট নে, আমি হয়ে গেলে ডাকবো"। যখন খাবারের জন্যে গেলাম, তখন দেখলাম রান্না সম্পূর্ণ করার সাথে সাথে দক্ষ হাতে রান্নাঘরটাকেও সাফসুতরো করে তুলেছে। প্রথম সন্ধ্যায় চারপাশে যে এক অপার্থিব মন্তাজ সৃষ্টি হয়েছিল, বাস্তবের নিষ্ঠুর রসিকতায় তার তাল কেটে গেছে। সেই মনখারাপকে দীর্ঘায়িত করতে না দিয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া মনস্থ করলাম। ঘুমিয়ে পড়ার আগে পাশের ঘর থেকে দুই মক্কেলের নাক ডাকার আওয়াজে প্রতীতি হল, পবিত্রর ওষুধ ধরেছে, দুই ব্যাটা মনের সুখে ঘুমোচ্ছে। কিন্তু কাল সকালে ঘুম ভেঙে উঠে ওদের কপালে কি আছে ভাবতে গিয়ে আমিও শঙ্কিত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।                                    


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ