ইমাম আবদুল্লাহ হোসাইন
তুমি আসিয়াছো,
তৃষ্ণার সঞ্জীবণী লইয়া,
গ্রীষ্মের রুদ্রাতাপের নির্জীবতা,
শুষিয়াছো আপন সজীবতায়!
প্রকৃতি পরতে পরতে,
জাগিয়াছো সবুজের সুষমা,
জুড়াইয়াছো তৃষ্ণিত চাতকের বুক,
বিধ্বস্ত বনকন্যা পাহিছে!
তাহার যৌবনকাল
চারিদিগের শত শত স্রোতস্বীনি
জাগ্রত হইলো অথৈজলে
সৃষ্টিশীল জগৎ মাতিল,
এক বর্ণিল আবেগের আচ্ছাদনে,
দূরের আকাশে আজ জাগিয়াছে,
রংধনুর সাতকাহন!
বনে বনে ধ্বনিত হইলো,
মেঘ নিনাদের অপরূপ সৃষ্টি,
এই খেয়ালী বরষা করিলে,
মনুষ্যকুলে অর্ন্তমুখী,
সঞ্চিত করিলে,
স্মৃতি সঞ্জীবনীর,
যাহার স্পর্শে!
হৃদয়ের রহস্যপুরিতে,
জাগিলো এক মধুর অংকুর
ওহে বরষা!
তোমার সেই,
অবিরাম বর্ষণের,
সম্মোহনী ছন্দের তালে,
ভুলিয়া ভূত-ভবিষ্যত হয়েছি একাকার,
জ্বালিয়াছো মানব!
হৃদ মাঝারে!
জীবনানন্দের আখ্যান,
যুগে যুগে দিয়াছো,
শত সভ্যতার অগ্রগতি,
দূর করিয়াছো
চরম হতাশা,বিচ্ছেদ বেদনা
বার বার দিয়াছো অনুপ্রেরণা
করিয়াছো সংগ্রামী
শিখাইয়াছো জীবনের অাস্বাদন
হে বরষা!
বর্ষচক্রে তুমি রহিয়াছো
মানবের ঐশ্বর্যে,
অনুভূতিতে,
জীবনযাত্রার বৈচিত্র্যে।
0 মন্তব্যসমূহ