সর্বশেষ

10/সর্বশেষ/ticker-posts

খোদার দরবারে-নয়ন হাসানের কবিতা



খোদার দরবারে

নয়ন হাসান


তিনদিন যাবৎ খেতে পাইনি বলিয়া,

নাদের মুন্সি হাত তুলিল খোদার দরবারে;

“হে খোদা” মোর বধূ-সন্তানেরাও,

না খেতে পেয়ে পড়িয়া আছে ভাঙা ঘরে।


মাটিকাটা কাজ করিয়া আমি, যোগাইতাম তাদের অন্ন;

দিলে তুমি মহামারী-অতিবৃষ্টি, ছাড়িল মোর ছন্ন।

মাটিকাটা কাজ বন্ধ হইল, একপয়সাও নাই হাতে;

গত শুক্রবারে চাল চাপিয়াছিল, লালচে মাটির হাড়িতে।


তারিপর হইতে পেরোল তিনদিন, অভুক্ত রহিলাম মোরা;

ক্ষুধা-তৃষ্ণায় নিজ বুকে, মারিতে ইচ্ছে করিতেছে ছোরা।

পাশের বাসার চৌধুরীরা, আহার্য ফেলে রোজ ডাস্টবিনে;

মোদের পানে তারা চাহেনা ভুলেও! ভীষণ এই দুর্দিনে।


লাজ-লজ্জা ভুলিয়াও যদি, হস্ত বাড়াই ওদের কাছে;

বলে দূর-দূর সরিয়া যাও, কীভাবে আসিলে মোদের মাঝে?

হপ্তাহে দু’বার পার্টি করে, কত শত রং-তামাশায় মাতে;

ছোট্ট-ছোট্ট ছেলে-মেয়েরা মোর, তা দেখে দাড়াইয়া পথে।


ভুঁজে ওরা বিরিয়ানি-পোলাও, ভুঁজে ভিনদেশী সব খাদ্য;

খেতে না পেয়ে, গৃহে বসিয়া মোরা রচনা করি পদ্য।

নগণ্য অসুখে নাড়ি টেপা লাগে! আরও কতরকম সব ফন্দি;

অসুখে ধুঁকে-ধুঁকে মরি মোরা, তবুও জোটেনা ডাক্তার-বদ্যি।


এভাবে আর কতকাল প্রভু? আর কতদিন অনাহারে থাকিয়া;

ভোগ করিবোনা কি কিছুই মোরা, যাবো শুধু দেখিয়া?




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ