ভোরের আজানের সুর ভেসে আসতেই সৈকতের *সম্বিৎ ফিরে আসে। দৃষ্টি যায় হাতের আঙুলে। সিগারেট নিভে গেছে। সিগারেটের অংশটুকু ছুঁড়ে বাইরে ফেলে দেয়। তারপর শ্রান্ত-ক্লান্ত শরীরটাকে বিছানায় এলিয়ে দেয়।
আর এদিকে রুচিরারও একই অবস্থা। সৈকতের কাছ থেকে এসেই বিছানায় গড়িয়ে পড়ে। সময় কেটে যায় একটা ঘোরের মধ্য দিয়ে। রুচিরা চোখ বন্ধ করে অনুভব করে সৈকতের হাত ধরে বসে থাকার মুহূর্তটুকু। সুখের আবেশটুকু রুচিরাকে এখনও পুলকিত করছে। রুচিরার সারা অঙ্গে ভালোবাসার ঝড় বইছে অবিরাম।
সৈকতকে রুচিরা ভালোলাগার আঙিনায় বহুদিন থেকেই ঠাঁই দিয়ে রেখেছে। যে স্থানে অন্য কেউ ঠাঁই পায়নি। কিন্তু এই ভালোলাগা যে মুহূর্তের নিঃশ্বাসে ভালোবাসায় পরিণতি পাবে সেটি রুচিরার ধারণায় ছিল না। অথবা এমনটি ভাববার সাহস করে ওঠতে পারে নি কোন দিনই। আবার এমনও হতে পারে ভালোলাগাটুকু ভালোবাসায় অংকুরতি হতে সময় নিয়েছে নিয়তির ডালা থেকে।
এত সুখ রুচিরা মনের ভেতর গোপন করে রাখতে পারে নি। সেই তখন থেকেই খুশীর জোয়ারে দু’চোখ প্লাবিত হচ্ছে। বালিশ ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে। কোন রকম ভ্রুক্ষেপ নেই রুচিরার। রুচিরার মনের বাগানে এই রোদ - এই বৃষ্টি। আজ অফিসে যায় নি র্পযন্ত।
পড়ন্ত বিকেলে এল পারমিতা। রুমে ঢুকে চুপচাপ চেয়ারে বসে আছে। ভাবছে রুচিদির ঘুমের মধ্যে ডিস্টার্ব করবে না।
রুচিরা বালিশে মুখ গুজে শুয়ে আছে। আর ভাবছে সৈকতকে নিয়ে। কিছুক্ষন পর পারমিতা বুঝতে পারল রুচিরা সজাগ। পারমিতা গলা খাকাড়ি দিয়ে উপস্থিতি জানান দিল। রুচিরা চমকে ওঠে ফিরে তাকায়।
অবাক হয়ে তাকায় পারমিতা এবং বলে- তোমার কী হয়েছে রুচিদি?
রুচিরা নিজেকে সামলে নিয়ে বলে না কিছু হয়নি। শরীরটা একটু ম্যাজম্যাজ করছে তাই শুয়ে আছি।
তা বুঝতে পারলাম। কিন্তু তোমার চোখ বলছে অন্য কথা।
রুচিরার হঠাৎ খেয়াল হয় কান্নার জলে ভেজা বালিশের কথা। বালিশটা উল্টে রাখে।
রুচিদি সত্যি করে বলো তো তোমার কী হয়েছে?
রুচিরা হালকাভাবে বলে কিছু হয়নি।কিছুই হয় নি লক্ষী বোনটি আমার।
পারমিতা বুঝতে পারে যে, রুচিরা কিছু একটা লুকাতে চাচ্ছে। পারমিতা কাছাকাছি হয়ে বলে রুচিদি তুমি কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলিয়েছ। তোমার এত কষ্ট অথচ আমাকে কিছুই বলতে চাচ্ছ না। তোমরা সবাই আমাকে এত অবিশ্বাস কর কেন?- পারমিতার কণ্ঠটা কান্নায় ধরে আসে।
রুচিরা স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে। পারমিতার হাতে হাত রেখে বলে- সত্যি বলেছি আমার খারাপ কিছুই হয়নি। আমি সুখে কাঁদছি।
পারমিতা তাকিয়ে থাকে কিছু একটা শোনার জন্য।
রুচিরা বলে মনে কিছু করো না পারমিতা। এই কথাটি আমি তোমাকে বলতে পারব না।
ঠিক আছে, তুমি সুখী হলে তাতেই আমার আনন্দ। আমি শুনতে চাই না। কিছুক্ষণ কী যেন ভাবল, তারপর আবার বলল চাকরিতে গেলে না।
ইচ্ছে হচ্ছিল না একদম। তারপর বল তোমার খবর কী?
তোমার কাছে একটা কাজে এসেছি রুচিদি। রুচিরা বেশ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থেকে বলে- বলো।
তৃষ্ণার বাবার প্রমোশন হয়েছে।
রুচিরা বেশ খুশী হয়।
পারমিতা বলে সেই সাথে বদলি। সম্ভবত কিছুদিনের মধ্যেই চলে যেতে হবে।
রুচিরা কোন কথা বলে না। শুধু চেয়ে থাকে। পারমিতা বলে- শুনেছি সৈকত এখন ক্লাস রীতিমত করে। অথচ আমি ওর নাগাল পাই না। ও আমাকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলে। ওকে একটু দরকার ছিল এবং খুব শিগগির।
হলে গেলেই হয় তো পেতে পারো ।- রুচিরা স্বাভাবিক ভাবেই বলে।
পারমিতা জবাবে কোন কথা বলে না। রুচিরা বুঝতে পারে যে পারমিতা হলে যেতে চাচ্ছে না। একটু ভেবে রুচিরা বলে ঠিক আছে, তুমি আগামী কাল সকাল এগারটায় লাইব্রেরির সামনে থেকো।
পারমিতা খুশী হয়ে রুচিরাকে জড়িয়ে ধরে এবং বলে- রুচিদি, তুমি আমার জন্য যা করলে তা কোনদিন ভুলতে পারব না। সৈকতকে তুমি নতুন জীবন দিলে। আমি কিছুটা হলেও সুখী হলাম। আর নয়ত সারাটা জীবন আমার মনের ভেতর দাগ পড়ে থাকত।
রুচিরা কথার মোড় ঘুরাবার প্রয়াসে বলে- তৃষ্ণামণি কেমন আছে?
ভালো আছে। বাসায় আস না কেন? সময় করে একবার আস না রুচিদি। ক’দিন পরই-আবার ঢাকার বাইরে চলে যেতে হবে। তখন যে কতদিন পর দেখা হবে ভেবেই পাচ্ছি না।
রুচিরা বলে- চিন্তা করো না, সব সময় যোগাযোগ রাখব।
পারমিতা চলে যেতেই রুচিরা আবার বিছানায় গড়াগড়ি যায়। সুখের আচ্ছন্নতায় ডুবে ডুবেই সারাটি রাত কেটে যায়।
*
ঘুম থেকে উঠেই সৈকতকে নিয়ে ভাবে। গতকাল সুখের তোলপাড়ে আর লজ্জায় সৈকতকে কিছুই বলতে পারে নি। সৈকতকে দেখার জন্য মনটা ভীষণ রকম উতলা হয়ে আছে। রুচিরা আর দেরি করে নি। হালকা মেকাপ টেনেই বাইরে পা বাড়ায় রুচিরা। সৈকতের রুমের কাছে এসে রুচিরা ঘড়িতে চোখ রাখে। সাতটা বেজে পঁয়ত্রিশ। দরজার কাছে এসে খানিক দাড়ায়। তারপর করা নাড়ে। দরজা খুলে অনিক সরে দাঁড়ায় এবং বলে আসুন রুচিদি ভেতরে আসুন।
শব্দহীন হাসি ছড়িয়ে দিয়ে রুচিরা রুমের ভেতর ঢুকে। সৈকত উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। চেহারাটাও দেয়ালের দিকে। পুরোপুরি দেখা যাচ্ছেনা। হাত দুটো এমনভাবে গুটিয়ে রেখেছে যেন একটা অসুখী মানুষ। রুচিরার মনটা খারাপ হয়ে যায়। গতকাল কষ্ট করে হলেও কিছু কথা বলার দরকার ছিল। রুচিরা এবার অনিকের দিকে তাকায় । অনিক জুতা জোড়া পরছে। রুচিরা বলে কোথাও যাচ্ছ নাকি অনিক?
আটটায় ক্লাস আছে।- এই বলে অনিক জুতার ফিতা বেঁধে টেবিলের উপর থেকে বইপত্র হাতে নেয়। তারপর রুচিরাকে বলে রুচিদি আপনি বসুন, আমি ক্লাসে যাচ্ছি। সৈকত গতরাতে সম্ভবত বেশি রাতে ঘুমিয়েছে।
অনিক চলে যায়। রুচিরা সৈকতের কাছাকাছি চেয়ারটায় গিয়ে বসে। চুপচাপ চেয়ে থাকে সৈকতের দিকে। সোয়া আটটা নাগাদ সৈকত ঘুমন্ত অবস্থাতেই টেবিলের ওপর হাত বাড়ায়। কিছু একটা সম্ভবত খুঁজছে। রুচিরা দেখে হাতের কাছেই সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটারটা পড়ে আছে। রুচিরা সৈকতের হাতের নাগালে পোঁছে দেয়। সৈকত চিৎ হয়ে চোখ বন্ধ অবস্থাতেই সিগারেট ধরায়। এবার সৈকত ছাদের দিকে তাকায় । হাত একটা আড়াআড়ি করে কপালে ফেলে রাখে।
ভাবনার জালে আবদ্ধ হয়ে আপন মনে সিগারেট টানছে। অথচ স্বপ্নের রানী যে ওর পাশেই বসা সে কথা এখনও জানে না। রুচিরা পলকহীন দৃষ্টিতে সৈকতকে দেখছে। সিগারেট টানা বন্ধ করে সৈকত যেন কী ভাবছে। সিগারেটের ধোঁয়া কুগুলী পাকিয়ে ঊর্ধ্বমূখী হচ্ছে। সিগারেটে শেষ টানটা বেশ লম্বা করেই দেয়। তারপর উঠে বসে। রুচিরার ওপর চোখ পড়তেই বিস্ময়াভূত হল সৈকত। পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রুচিরা মিটমিট হাসছে। কী বলবে সৈকত ভেবে পাচ্ছে না। কারণ রুচিরা আসবে একথা সৈকত ভাবে নি। রুচিরা প্রথম কথা বলে এত গভীর হয়ে কী ভাবছিলে?
ভাবছিলাম, ভাবছিলাম অনেক কিছু।
যেমন?
আমার নিজের কথা, স্বপ্নের কথা আর রাজকন্যার কথা।
উত্তরে কোন কথা বলে না রুচিরা । শুধু মিটমিট হাসে।
বিছানা ছেড়ে সৈকত নেমে আসে। তারপর বলে রুচিদি তুমি একটু বস, আমি হাত-মুখটা ধুয়ে আসি।
রুচিরা মাথা নাড়ে।
তোয়ালে নিয়ে সৈকত বাইরে যায়। বারান্দার জানালা গলে সৈকত বাইরে তাকায়। একটা পিচ্চিকে ডেকে নাস্তা দিতে বলে।
রুচিরা চেয়ার ছেড়ে উঠে। বিছানার চাদরটা তুলে ভালো করে ঝেড়ে একেবারে টানটান করে বিছায়।
সৈকত রুমে ঢুকেই গোছানো বিছানায় পলকহীন তাকিয়ে থাকে। দৃষ্টি ফিরিয়ে রুচিরার দিকে তাকাতেই রুচিরা বলে একটু গোছালো থাকা ভালো। এই বলে রুচিরা সৈকতের হাতের তোয়ালেটায় তাকিয়ে থাকে।
সৈকত লজ্জিত হয়ে বলে আজই পরিস্কার করব।
রুচিরা হাসে। তারপর হঠাৎ করেই রুচিরা মন খারাপ করে বসে থাকে।
সৈকত অবাক হয়ে বলে কী ব্যাপার রুচিদি আকাশে হঠাৎ মেঘের ঘনঘটা কেন?
অভিমানী রুচিরা বলে গত রাতে এত দেরি করে ঘুমোতে গেলে কেন?
সৈকতের ইচ্ছে হচ্ছিল সত্যি কথাটা বলতে কিন্তু কী যেন ভাবল, এড়িয়ে গিয়ে বলল আর রাত করে ঘুমোব না।
রুচিরা অবিশ্বাসী চোখে তাকায়। তারপর সাহসে ভর করে চোখে চোখ রাখে। এই দৃষ্টিতে রয়েছে ভীষণ রকম আস্কারা।
কানে হাত লাগিয়ে দুষ্টুমিভরা হাসি ছড়িয়ে সৈকত বলে এই যে রাণী এবার কানে ধরে বলছি, ভুল আর কখনও হবে না।
রুচিরা আশ্বস্ত হয়ে বলে- দেখা যাবে কতটুকু বাধ্য হয়ে চলেন।
দরজার কড়া নড়ে ওঠতেই সৈকত এগিয়ে যায়। পিচ্চি নাস্তা নিয়ে ঢুকে।
পিচ্চি নাস্তা রেখে চলে যেতেই সৈকত দরজার খিল এঁটে দেয়। তারপর কাছে এসে সৈকত বলে আচ্ছা রুচিদি একটা কথা বলব ? সত্যি জবাব দেবে কি?
জিজ্ঞেস করতে পারো। তবে সেন্ট পার্সেন্ট গ্যারান্টি দিতে পারব না।- দুষ্টুমি ভরা হাসি হেসে রুচিরা বলে।
চোখে চোখ রেখে সৈকত বলে- আমি খালি পেটে সিগারেট টানলাম, কিছু বললে না যে?
তোমার দিনের প্রথম আমেজটায় বাঁধা দিতে ভালো লাগছিল না। ভাবলাম তোমার নিজস্ব ভুবনে অন্তত কিছুক্ষনের জন্য হলেও নিশ্চিন্তে বিচরণ কর।- এই বলে রুচিরা সৈকতের চোখে চোখ রেখে আবার বলে সিগারেটটাই ক্ষতিকর তার ওপর খালি পেটে। এযে বিষ পান । এভাবে আর টেনো না।
মহারানী যা বলবেন সবই মাথা পেতে নেব। টেবিলের ওপর একটা পেপার বিছিয়ে তাতে নাস্তাগুলো খুলে রাখে সৈকত। ডিম টোস্টের একটা টুকরো হাতে তুলে নিয়ে সৈকত রুচিরার দিকে বাড়ায়। রুচিরা লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে। সৈকত মুচকি হাসে। রুচিরা মনে মনে ভাবে সৈকতের এগিয়ে দেয়া ভালোবাসাটুকু আমাকে গ্রহন করতেই হবে। হাতে হাত ধরে সৈকতের এগিয়ে দেয়া ডিম টোস্টে ভাগ বাসায় রুচিরা । তারপর রুচিরাও একটা টুকরো হাতে নিয়ে সৈকতকে খাইয়ে দেয়। সৈকত দুষ্টুমি করে রুচিরার হাতের আঙুলে হালকা কামড় বসায়।
উঃ! বলে রুচিরা সৈকতকে মিছিমিছি মারতে আসে। সৈকত হাসে। তারপর কতক্ষণ নীরবতা। নাস্তা শেষে কৌটা থেকে চা গ্লাসে ঢেলে রুচিতাকে এগিয়ে দেয়।
সিগারেটের প্যাকেটেটা হাতে নিয়ে সৈকত বলে- এই যে, মাহারাণী এবার একটা সিগারেট খেতে পারি?
রুচির মাথা নেড়ে সম্মতি দেয়। তবে বলে- সিগারেটটা ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলতে হবে।
আজকের শুরু থেকে সৈকতের খুব ইচ্ছে হচ্ছিল গতকালের দুঃসহ মূহূর্তের কষ্টগুলোকে রুচিবার সামনে তুলে ধরার। কিন্তু তেমন সাহস পাচ্ছিল না এবং বলতে গিয়েও যেন আগ্রহবোধ হচ্ছিল না। এমন সুযোগটা পেয়েই সৈকত বলল সিগারেটটা আসলে এই ক’দিনেই কমিয়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু গতকাল ভীষণ দুশ্চিন্তায় কেটেছে তো তাই।
রুচিরা উৎকণ্ঠচিত্তে জানতে চায়- কেনো, কি হয়েছিল তোমার?
‘না মানে গতকাল তোমার কথাগুলো বলার পর তুমি যেভাবে কাঁদলে ভাবলাম তোমাকে খুব বেশি কষ্ট দিয়ে ফেললাম। তারপর থেকে সত্যিই আমার খুব খারাপ সময় কেটেছে। তোমাকে আমি হারাতে চাই না রুচিদি। যে কোন সম্পর্কেই হোক তোমার সান্নিধ্য আমি সবসময় পেতে চাই। সৈকতের কণ্ঠেস্বরে বেশ আবেগ ছড়িয়ে পড়ে।
সৈকতের আবেগের মোহনায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় রুচিরা। কোন রকমে নিজের অস্তিত্বকে তুলে এনে বলে- ওটা আমার সুখের কান্না ছিল, সৈকত। আমি তোমার মতো একজন বন্ধু চাই। যে সবসময় সবকিছুই বুঝতে চেষ্টা করে। ইউ আর মাই বেস্ট ফ্রেন্ড, সৈকত। গতকাল এতটুকু কথা বলতে পারছিলাম না যে, অন্তত বিদায় বাক্যটুকু বলি। সুখের বন্যায় আমি হাবুডুবু খাচ্ছিলাম সৈকত। আই লাভ ইউ। সৈকত, আই লাভ ইউ । আমাকে তুমি কখনও কষ্ট দিও না সৈকত। আই লাভ ইউ সৈকত।
কখন কে কাকে জড়িয়ে ধরেছে কেউ বলতে পারে না। রুচিরা খুশীতে আবার কেঁদে ফেলে। জড়িয়ে থেকে রুচিরা বলে তুমি আমাকে সব সময় ভালোবেসো।
হ্যাঁ রুচিদি, আমি তোমাকে সারাজীবন ভালোবাসবো।
আর তোমার ভালোবাসাকে আমি বুকের গহীনে লুকিয়ে রাখব অনন্তকাল।- সুখের ভেলায় ভাসতে ভাসতে রুচিরার র্স্বগীয় উচ্চারণ।
আই লাভ ইউ, রুচিদি। আই লাভ ইউ।- আবেগে আপ্লুত হয়ে সৈকত ভালোবাসার মহাসমুদ্ররের কিনারায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বিনম্র সুখী উচ্চারণ করে।
রুচিদি নয়। একান্তে সবসময় রুচি বলেই ডাকবে। এখন একবার ডাক প্লিজ। শুনতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।- চোখে চোখ রেখে চাতকীর মতো একটু ভালোবাসার প্রত্যাশী রুচিরা সৈকতের মনের আকাশে তাকিয়ে থাকে।
দৃষ্টিতে দৃষ্টি রেখে সৈকত বলে আই লাভ ইউ রুচি, মাই ডারলিং , মাই হার্ট!- বলেই সৈকত ফিক করে হেসে ওঠে। সাথে সাথে রুচিরাও হাসে।
0 মন্তব্যসমূহ