গোবিন্দলাল হালদার
ইতিহাসের মৃত্তিকা ভাগ হয়েছিল দুই খণ্ডে।
তারপর থেকে পশ্চিমের জিহ্বা চেটে খায়
সুফলার প্রথম যৌবনের স্তনের শাল দুধ।
সুফলার সন্তানরা প্রতিদিনের সংযম কষ্টের শুকনো
বাতাসে,দেহের কঙ্কাল দেখে বজ্রমুষ্ঠির হাত জন্ম দিতো।
জিহ্বা কেটে দেয়ার মতো কারো অভয়বাণী শোনার অপেক্ষায় ছিলো।
কারো মাথা গোজার ঠাঁই নেই। পেটে ক্ষেতের ধানের একমুঠো ভাত নেই।
পরণে লজ্জা ঢাকার মতো কাপড় নেই। রোগে ওষুধ- পত্র নেই।
ব্যবসা নেই। চাকুরী নেই।শিক্ষা নেই।
জীবন তো বাহানা নিয়ে চলতে পারে না।
রোদে পুড়ে ফলানো ফসলাদি,সোনা ধান,সোনালি
আঁশের ন্যায্যতা নেই।
বকের ঠোঁটে মিঠে পানির মাছিটিও নিয়ে যায় তাদের রান্না ঘরে।
আর সকলে কী কবুতর।খুঁটে খাওয়া শস্যের সাথে নুড়িপাথর খেয়ে যাবে।
তারপর ভোটের দাবী অস্বীকার করলেই ; সকল অন্তরের কোরাস মেঘ গর্জে ওঠে।
লৌহমানুষ সমাত্মার অভিযোগ নিয়ে মুক্তির ডাক দিলো।
মুক্তির সংগ্রামে সুফলার সন্তানরা এক হয়ে
জিহ্বা কেটে দিতে প্রস্তুত হলো।
রণাঙ্গনে জীবন গেলো,সম্ভ্রম গেলো এবং কালো রাতও কেটে গেলো।
পূর্বে সূর্য উঠলো।ভোরে পতাকা উড়লো পত পত।এখন আমরা বাঙালি জাতি।
ঠিকানা : চরপাড়া,বেড়া,পাবনা
0 মন্তব্যসমূহ