সর্বশেষ

10/সর্বশেষ/ticker-posts

লাল পাহাড়ের দেশে: তৃতীয় পর্ব

ড. গৌতম সরকার


আমাদের অবস্থাটা কল্পনা করুন। মাঝরাতের ভরা অন্ধকারে একটা অজানা জায়গায়, সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষের সাথে অনাত্মীয় এক নিঝুম দোতলা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। বেল বাজানোর পর দরজা খুলে ভূতসদৃশ এই আগন্তুকদের দেখে ভিতরের মানুষটার কি প্রতিক্রিয়া হবে ভাবতেই মাথা আপনাআপনি নিচু হয়ে গেল। তাই কে দরজা খুললেন, তার সঙ্গে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভদ্রলোকের কি কথা হলো কিছুই বুঝে উঠতে পারলামনা। তবে ভদ্রলোকের আহ্বানে আমরা নিচতলার ড্রয়িংরুমে গিয়ে বসলাম। বাড়িটা দোতলা। সাজানো-গোছানো ড্রয়িংরুম দেখে প্রতীতি হল পরিবারটি শিক্ষিত এবং সম্পন্ন। আমাদের ঘরে বসিয়ে ভদ্রলোক বেরিয়ে গেলেন। এই রাত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের দেখা পাওয়ার কথা নয়, কিন্তু যিনি আমাদের দরজা খুলে দিলেন তাঁকেও দেখতে পেলামনা। কয়েক মিনিটের মধ্যে ভদ্রলোক আমাদের দোতলার একটি ঘরে নিয়ে এসে বললেন, “এই ঘরে আপনারা রাত্রে থাকবেন”। ভদ্রলোককে মনে মনে ধন্যবাদ জানালাম রাতে উনি খাবার ব্যাপারে জোরাজুরি করলেন না। গাড়ি থেকে নেমে যখন বুঝতে পারলাম ওনার কথায় রাজি না হয়ে উপায় নেই তখনই বলে দিয়েছিলাম, আমরা রাতের খাওয়া খেয়ে নিয়েছি। ভদ্রলোককে আরেকটা অনুরোধ করলাম, ভোর সাড়ে চারটায় আমাদের জাগিয়ে দিতে, কারণ আমাদের স্থির বিশ্বাস ভোরের দিকে দু-একটা রাঁচিগামী বাস ছাড়বেনা এটা হতে পারেনা। আর লোকে তো আর ভোরবেলা থেকে হোলিখেলায় মেতে উঠবেনা। ভদ্রলোক আবার একই কথার পুনরাবৃত্তি না করে ঘাড় নেড়ে গুডনাইট জানিয়ে চলে গেলেন। এখন ঠিক মনে নেই, ঘরের সাথে সংলগ্ন স্নানঘর ছিল কিনা। তবে থাকার সম্ভাবনাই বেশি, কারণ ঘরের বাইরে সে রাত্রে বেরোতে হয়েছিল বলে মনে পড়ছেনা।

ঘরে ঢুকেই টের পেয়েছিলাম, সদ্য সদ্য কোনো নিদ্রিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে এঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। মশারির তিনদিক খাটানো, একদিক ঝুলছে। আমরা নিজেরাও খুব ক্লান্ত, সারাদিন ধরে ধকল তো কম হয়নি, আর ঘড়ির কাঁটাও রাত একটা ছুঁয়েছে। আর দেরি না করে আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়লাম। 


কাঁচা ঘুম ভাঙলো ঘড়ির অ্যালার্মের কর্কশ আওয়াজে, তবে আমাদের ঘরে নয় পাশের কোনো ঘরে বাজছে। নিশ্চিত হয়ে পাশ ফিরে শুতে গিয়ে গত রাত্রের সব ঘটনা মনে পড়ে গেল। ধড়মড় করে উঠে বসতে না বসতেই দরজায় নক। সাড়া দিলাম, ভদ্রলোক বাইরে থেকে বললেন, “আপনারা তৈরি হয়ে নিন, আমি পনেরো মিনিটের মধ্যে তৈরি হচ্ছি”। তৈরি হয়ে নিজেদের ব্যাগপত্র নিয়ে নিচে নেমে দেখি ভদ্রলোক এরই মধ্যে রেডি হয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমার একপ্রস্থ লজ্জিত হবার পালা। ভদ্রলোককে কেবলমাত্র বাসস্ট্যান্ডের রাস্তা বাতলে দেওয়ার কথা বললেও উনি আমাদের সঙ্গে চললেন। তখনও হাজারীবাগ শহরের ঘুম ভাঙেনি। হালকা কুয়াশার চাদর মোড়া চারপাশ, রাস্তার আলোগুলো একটা একটা করে নিভছে। আমরা সেই আলো আঁধারীর মধ্যে দিয়ে কংক্রিটের পথ পেরিয়ে মিনিট দশেক হেঁটে পৌঁছলাম হাজারীবাগের মেইন বাসস্ট্যান্ডে। এখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত বড় শহরে বাস যায়। কিন্তু আজ এই বসন্ত সকালে সারা বাসস্ট্যান্ড জুড়ে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। অন্যদিন ইতিমধ্যেই জায়গাটা সরগরম হয়ে ওঠে। বাস-গাড়ির হর্নের শব্দের মধ্যে ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, ম্যায় যাত্রীসাধারণ ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের কাপে চুমুক মারে। দুয়েকটা ফিরিওয়ালাও তাদের পসরা সাজিয়ে নিয়ে হাজির হয়ে যায়। আজ সারা এলাকা ধু ধু করছে৷ কেউ কোথাও নেই, এমনকি বারোয়ারি কুকুরগুলোও আজ এখানে কিছু জুটবেনা বুঝে এলাকা ছেড়ে উধাও। এবার ভদ্রলোক বললেন, “নিজেদের চোখে সব দেখে নিলেন, এবার বিশ্বাস হলো তো? আর হোলিতে বিহারে কি হয় সেটা বাংলায় বসে আপনারা বুঝতে পারবেননা। আপামর মানুষ স্রেফ পাগল হয়ে যায়। আজ কেউ কোনো কাজ করবেনা। শুধু পরিবার আর বন্ধুদের সাথে হোলি খেলবে আর মজা মস্তি করবে”। আমাদের কিছু বলার নেই। ভদ্রলোক কাল থেকে বারংবার এই কথা বলে আমাদের বিশ্বাস অর্জন করতে চেয়েছিলেন। আমরা বিশ্বাস করিনি। তারই পরিণতিতে ভদ্রলোককে রাত্রে মাত্র দুঘন্টা ঘুমিয়ে আমাদের নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়তে হয়েছে। লজ্জায় আমাদের মাথা কাটা যাচ্ছে কিন্তু মুখে কিছু বলতে পারছিনা। ভদ্রলোক ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন। মুখে বললেন, “এবার চলুন”। আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, “কোথায়!” উনি বললেন, “কেন, আমাদের বাড়িতে!”। এবার পবিত্র, আমি দুজনেই কাঁচুমাচু মুখে ভদ্রলোককে অনুরোধ করলাম- “দাদা আপনি আমাদের জন্যে অনেক করেছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের একটা হোটেলের খবর বাতলে দিন, আমরা আজকের দিনটা কোনরকমে কাটিয়ে দেব”। ভদ্রলোক কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, “দেখুন আপনার ভদ্রঘরের ছেলে। এ অঞ্চলে নতুন এসেছেন। এখানকার ব্যাপারস্যাপার বোঝা আপনাদের কম্ম নয়। আমি বয়োজ্যেষ্ঠ, তাই যা বলছি মন দিয়ে শুনুন। আপনারা কাল থেকে যা যা বলছি সেগুলো তো মিলিয়ে নিচ্ছেন। আজ কোনো হোটেলে জায়গা পাবেননা, কারণ ম্যানেজাররাই সব ছুটি কাটাতে বাড়ি চলে গেছে। আর তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই ঘর পেলেন, কিন্তু খাবার কখনোই পাবেননা। কারণ খাবার রাঁধার লোক কোনো হোটেলেই নেই। তাই আমার কথা শুনুন, আমার সঙ্গে চলুন। শুধু তো আজকের দিনটা, কোনোরকমে কাটিয়ে কাল ভোরবেলা চলে যাবেন। আমিও তো ফিরবো, কাল ভোরে একসাথে বেরিয়ে পড়া যাবে৷”। আমরা দুই অর্বাচীন রাস্তার মাঝখানে পরস্পরের মুখের দিকে চেয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। দুজনের মুখেই বোকা বোকা অভিব্যক্তি ফুটে উঠলো। ভদ্রলোক তাড়া দিলেন, “আরে চলুন, আমার আবার সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এককাপ চা না খেলে মাথাটা ধরে যায়। দেখছেন তো সারা রাস্তায় একটা চায়ের দোকান পর্যন্ত খোলা নেই”। এই বলে ভদ্রলোক পা বাড়ালেন। আমরা আর কোনো কথা না বলে ওনার পায়ে পা মেলালাম।

পরিবারের সদস্যদের সাথে পরিচয় হল ব্রেকফাস্ট টেবিলে। আমাদের যিনি এবাড়িতে এনেছেন তিনি হলেন মেজ, বড়ভাইও চাকরিসূত্রে বাইরে থাকেন। ছোটভাই মা আর বোনকে নিয়ে এখানে থাকেন। বাবা কয়েকবছর আগে মারা গেছেন। খেতে খেতে ওনারাও আমাদের পরিবার সম্বন্ধে জানতে চাইলেন। আমাদের বেড়ানোর আনকোরা অর্বাচীন প্ল্যান ওনাদের কাছে অভিনব লাগলো৷ সবাই মিলে খুব উৎসাহ দিলেন৷ ছোটভাই স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক আর বোন বাংলায় এম.এ কমপ্লিট করে বি.এড করছে। পরিচয়পর্ব এবং ভোজনপর্ব সেরে আমরা আবার সেই নির্দিষ্ট ঘরে ঢুকে পড়লাম। বেড়াতে গেলেও আমি সঙ্গে কয়েকটা গল্পবই, পত্রপত্রিকা রাখি। এখন সেটা কাজে লাগলো। দুজনেই দুটো পত্রিকা নিয়ে বিছানায় লটকে গেলাম। বেশ কিছুক্ষণ উল্টেপাল্টে দেখে আর ভালো লাগলোনা। আসলে মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। যতই থাকা-খাওয়ার সুরাহা হোক, এই অচেনা পরিবেশে অস্বস্তি তো একটা থেকেই যায়। তার ওপর বেড়াতে বেরিয়ে এরকম গরাদখানায় আটকে থাকা, কি বলবেন! হ্যাঁ, আজকের জন্যে এটা গরাদখানাই...আজ হোলির হুল্লোড়ে রাস্তায় বেরোনোই যাবেনা। তা নাহলে নতুন শহর, কাছাকাছি ঘুরে বেরিয়ে দেখতে মন্দ লাগতোনা। আর তখন তো চোখে সব কিছুই নতুন লাগতো, ছোটবেলার জন্মগ্রাম আর পড়াশোনার জন্য কলকাতা শহরের বাইরের পৃথিবী চাক্ষুস করার সুযোগ তো বিশেষ ঘটেনি। কিন্তু সকালবেলা ভদ্রলোককে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম, উত্তরে বলেছিলেন, “যেতে পারেন তবে রঙে একেবারে ভূত বানিয়ে দেবে। তাছাড়া বেশির ভাগই প্রকৃতিস্থ অবস্থাতেও থাকবেনা”। তাই ঘরের মধ্যেই গুম হয়ে বসে রইলাম। অন্যদিকে পবিত্র সময় নষ্ট না করে বই পাশে রেখে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। এই এক ছেলে, পারলে বাথরুমে বসেও একচোট ঘুমিয়ে নিতে পারে। বেশ কিছুক্ষণ পর অতিষ্ঠ হয়ে উঠে পড়লাম। সিঁড়ি পেরিয়ে নীচে নেমে ছোটভাইকে দেখতে পেলাম। উনি বারান্দায় একটা চেয়ারে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলেন। ওনাকে বললাম, “ঘরে বসে বসে বোর হচ্ছি, একটু কাছেপিঠে ঘুরে আসছি”। উনি বাধা দিলেননা, একটু হাঁসি আমার পরিচ্ছদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “কিন্তু ভালো জামাকাপড় পরে যাবেননা, নষ্ট হবে”। আমিও হাঁসি মুখে ঘাড় নেড়ে বেরিয়ে পড়লাম।

বাইরে বেরিয়েই যেন মুক্তির স্বাদ পেলাম। কাল তোপচাঁচি ছাড়ার পর থেকেই বাঙলা চলচ্চিত্রের মতো একটার পর একটা ঘটনা ঘটে চলেছে, প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতেও ভুলে গিয়েছিলাম। আর মানছি, যেখানে আছি তারা খুব ভালো, তুলনা হয়না। কিন্তু সম্পুর্ন অচেনা অযাচিত এই আতিথ্যে প্রতি মুহূর্তে আমাদের মধ্যে একটা অস্বস্তির কাঁটা বিঁধে চলেছে। এখন বাইরে বেরিয়ে সাময়িক স্বস্তি বোধ করছি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেইন রাস্তার দিকে না গিয়ে পিছনের দিকে চললাম, কারণ মেইন রাস্তায় আক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। এদিকটাতেও ঘরবাড়ি আছে, তবে যত এগোচ্ছি ঘনত্ব কমছে। বেশ কিছুটা যাবার পর একটু ফাঁকামতো জায়গায় এসে পৌঁছলাম। দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কয়েকটা বাড়ি। এখানে সবুজ অনেক বেশি গাঢ় কারণ গাছপালার প্রাচুর্য বেশি। কিছুটা এগিয়ে হঠাৎ এক নদীর সাথে দেখা। যদিও গ্রীষ্মের শুরুতে নদী ক্ষীনকায়া, তবে একটা স্রোত কুলকুল শব্দ তুলে বয়ে যাচ্ছে। আড়বহর লক্ষ্য করে বুঝলাম, বর্ষায় এ নদী ভয়ংকর হয়ে ওঠে। নদীটার কি নাম জানতে হবে। একটা ঝাঁকড়া গাছের ছায়ায় বসে নদীর দিকে তাকিয়ে রইলাম। ইতিমধ্যেই সূর্যদেব কি এক প্রচন্ড আক্রোশে বলকে বলকে অগ্নিলাভা পৃথ্বী বুকে ঢেলে চলেছে। অসম্ভব গরম লাগছে, জামা-গেঞ্জি ঘামে ভিজে গেছে। তবে গাছের নিচে বসতে নদীর দিক থেকে একটা জল ছোওয়াঁ হাওয়া এসে শরীরটা জুড়িয়ে দিল। ফেরার পথে একদল অল্পবয়সী ছেলের পাল্লায় পড়লাম। তবে আমি নিজের সমস্যার কথা বলতে তারা রং না মাখিয়ে শুধু আবির মাখালো। স্নান করার সময় টের পেলাম সেই আবিরের সাথে সুচারুভাবে রঙের দানা মেশানো ছিলো। গায়ে-মাথায় জল পড়তেই নিজের সাথে নিজেই হোরি খেলায় মেতে উঠলাম।


বিকেলে একটু দিবানিদ্রা শেষে পবিত্র আর আমি শহর ঘুরতে বেরোলাম। হাজারীবাগ প্ল্যানড সিটি। বাড়িগুলো বেশ সাজানো, অধিকাংশই একতলা বাংলো প্যাটার্নের। সামনে বাগান, তাতে এইসময় খুব বেশি ফুল ফুটে নেই। তবে বেল, করবী ফুল দেখতে পেলাম। কয়েকটি বাড়ির বড় বাগানে আমি, কাঁঠাল, বেলগাছও চোখে পড়ল। এখানে কাছাকাছি একটা চার্চ আছে, বেশ কয়েকটা মন্দির। বড় রাস্তার পাশেই একটা বড় মাঠ। সকালে হোলি খেলেও বাচ্চাগুলোর ক্লান্তি নেই; এখন আবার দলে দলে যোগদান করে বল পেটাতে শুরু করেছে। ছিমছাম শহরটা পায়ে হেঁটে বেড়াতে খারাপ লাগলোনা। সন্ধ্যেবেলা ফিরে চা খেতে খেতে আরেক দফা গল্প জমে উঠলো। এবার ওনাদের মা এবং বোনও আড্ডায় যোগ দিলেন। এটা সেটা আলোচনা হতে আমি ওনাদের ঠিকানা আর ফোন নম্বর চাইলাম। সবাই চুপ করে গেলেন। কিছুক্ষণ পর নিস্তব্ধতা ভেঙে মহিলা বললেন, “শোনো বাবারা তোমরা রাস্তায় বিপদে পড়েছ বা পড়তে পারো আশঙ্কা করে আমার ছেলে তোমাদের এখানে নিয়ে এসেছে। সেক্ষেত্রে ব্যাপারটাকে বিশাল কিছু ভাবার কোনো দরকার নেই, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জায়গা তো নেইই। এটা যেকোনো সংবেদনশীল মানুষই করতেন। আজ আমরা বিপদে পড়লে তোমরা আমাদের সাহায্য করতেনা! তাই ঠিকানা নিয়ে যাও, যদি ভবিষ্যতে কোনোদিন এদিকে আসো তাহলে মাসিমার বাড়িতে একবার দেখা করে যেও, যদিও জানিনা তখন আমি থাকব কিনা, তবে এরা তো থাকবে। কিন্তু বাবারা ফোন নম্বর নিয়ে ফিরে গিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কোরোনা”। পরিবারটিকে যত দেখছি তত শ্রদ্ধা বাড়ছে। এখন বুঝছি কাল রাতে ভদ্রলোক আমাদের সম্বন্ধে কিছু না জেনে কোন ভরসায় এ বাড়িতে তোলার ঝুঁকি নিয়েছিলেন। আসলে এদের শিক্ষার মান আর রুচি একটু অন্য ধরনের। পরের দিন ভোর বেলায় ভদ্রমহিলাকে জোর করে প্রণাম করে তিনজনে বেরিয়ে পড়লাম।

  (ক্রমশঃ………)

                                              


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ