রৌদ্রের দেশ
একটু একটু করে আমি হেঁটে চলেছি
গ্রীষ্মের প্রখর খরাতে
প্রচণ্ড ঝড় বৃৃষ্টিতেও হাটি
সাঁকোটা পেরোলেই রৌদ্রের দেশ
যত চেনা মুখ
পরিচিত ওরাই আছে সেখানে
প্রতিনিয়ত-ই আমাকে ডাকে
আমিও ছুটছি একটা গভীর টানে
কারণ আমি জানি ওটাই আমার
শাশ্বত বাড়ি
ওখানেই ঘুমিয়ে আছে আমার মা ৷
মানুষ যখন সরীসৃপ
সব মানুষ এখন সরীসৃপ হয়ে গেছে
সময়ের নিরিখে বদলে ফেলছে শরীরের রং
সাপ গিরগিটির মতো মানুষও
বুকে হেঁটে পার হচ্ছে
সভ্যতার ভাঙা ব্রীজ ৷
চার পাশে লবনের স্তূপ
ক্ষুধার্ত শিয়ালের চোখ জ্বল জ্বল করে জ্বলছে
সাপের উলঙ্গ জীভে বিদ্যুতের চাবুক
আমি মাটি খেয়ে খেয়ে আগিয়ে যাচ্ছি
অন্ধকার রাত ৷
আসলে ক্ষয়েষ্ণু রোগে ক্ষয়তে ক্ষয়তে
যখন শিরদাঁড়া বলতে আর কিছুই থাকে না
তখন সব মানুষ সরৃৃৃৃসীপ হয়ে যায় ৷
উন্মাদের হাসি
পাহাড়ের স্তূপের মতো
আমাদের বিশ্বাস গুলো ভেঙে ভেঙে পড়ছে
আমার পায়ের তলার মাটি
এখন হাঙরের পিঠ
সময়ের কালো জলে ভেসে যাচ্ছি
এলোমেলো বাতাসে যন্ত্রনা গুলো
ফেনা হয়ে জলের উপর জমা হচ্ছে
আমি গায়ে মেখে নীরবে রৌদ্র পোহাচ্ছি ৷
আমাদের মৃৃৃত আশা গুলো
চিলেরা ইঁদুরের মতো ঘাড় ধরে নিয়ে যাচ্ছে
আমরা আকাশে বেলুন উড়িয়ে
উন্মাদের হাসি হেসে যাচ্ছি ৷
খুলে যায় অসংখ্য পথ
প্রতিটি দিনের শেষে সন্ধ্যা নামে,
গভীর হয় রাত!
আমার হাঁটার সমস্ত পথ যেন,
তখন শেষ হয়ে যায়।
পাখিদের কলরব থেমে যায়,
গোধূলির লাল সূর্যের মতো।
আস্ত শহর টাই ধীরে ধীরে ডুবে যায়,
ঘুমের ভিতর,
শূন্য দিয়ে হেঁটে যায় সময়।
তার খট খট বুটের শব্দে এক সময়
জেগে ওঠে পৃথিবী-
সকাল হয়,
শুরু করে পাখিরা আবার কল্লোল,
আমার চোখের সামনে তখন অসংখ্য;
পথ খুলে যায়;
আমি আবার ধুলো উড়িয়ে হাঁটতে শুরু করি ৷
নকশীপাড়া,নদীয়া,কলকাতা।
0 মন্তব্যসমূহ